ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করার গাইডলাইন
১️⃣ ব্যবসার ধারণা ও নীচ (Niche) ঠিক করা
-
কোন ধরণের ক্লায়েন্টকে সার্ভিস দেবে:
-
ছোট ব্যবসা (SME)
-
ই-কমার্স শপ
-
রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ফিটনেস সেন্টার
-
-
পরিষ্কার নীচ থাকলে মার্কেটিং সহজ হয়।
২️⃣ সার্ভিসের ধরণ নির্ধারণ করা
ডিজিটাল মার্কেটিং-এর বিভিন্ন সার্ভিস দেওয়া যায়:
-
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
-
Facebook, Instagram, TikTok, LinkedIn
-
-
কনটেন্ট ক্রিয়েশন
-
গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও, ব্লগ, রাইটিং
-
-
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
-
ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানো
-
-
পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট (PPC)
-
Facebook Ads, Google Ads
-
-
ইমেইল মার্কেটিং
-
ওয়েব ডিজাইন/ডেভেলপমেন্ট (optional)
৩️⃣ প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্ট
-
কম ইনভেস্টমেন্টে শুরু করা যায়:
-
ল্যাপটপ/কম্পিউটার: ৪০–৬০ হাজার টাকা
-
সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশন (Canva, Photoshop, ChatGPT, Meta Ads Manager): ৫–১০ হাজার টাকা
-
ওয়েবসাইট/ডোমেইন: ৫–১০ হাজার টাকা
-
মোট প্রাথমিক খরচ: ৫০–৮০ হাজার টাকা (প্রায়)
৪️⃣ টিম বা একাই শুরু করা
-
একা শুরু করলে ফ্রিল্যান্সারদের সাহায্য নিতে পারো।
-
পরবর্তীতে ক্লায়েন্ট বাড়লে ২–৩ জন টিম মেম্বার নিতে পারো:
-
কনটেন্ট ক্রিয়েটর
-
অ্যাড ম্যানেজার
-
গ্রাফিক ডিজাইনার
-
৫️⃣ ক্লায়েন্ট খোঁজা
-
নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোর্টফোলিও শেয়ার করো।
-
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম: Fiverr, Upwork, PeoplePerHour
-
লোকাল ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক/গ্রুপে প্রচারণা
-
রেফারেল মার্কেটিং: একবার ক্লায়েন্ট পেলেই নতুন ক্লায়েন্টের সুযোগ
৬️⃣ প্রাইস স্ট্রাকচার
-
ছোট ব্যবসার জন্য মাসিক রিটেইনার: ১০–২০ হাজার টাকা
-
মিডিয়াম ক্লায়েন্ট: ২০–৫০ হাজার টাকা
-
বড় ক্লায়েন্ট: ৫০–১০০ হাজার বা বেশি
প্রথমে কম দামে শুরু করে পোর্টফোলিও বানানো ভালো।
৭️⃣ মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং
-
নিজের ওয়েবসাইট + সোশ্যাল মিডিয়া পেজ
-
কেস স্টাডি এবং ক্লায়েন্ট রিভিউ
-
টার্গেটেড ফেসবুক/লিংকডইন অ্যাডস
৮️⃣ বৃদ্ধির পরিকল্পনা
-
নতুন সার্ভিস যোগ করা (SEO, Influencer Marketing)
-
টিম বাড়ানো
-
রিটেইনার ক্লায়েন্ট বাড়ানো
💡 টিপস:
-
প্রথমে ৫–১০ ক্লায়েন্ট নিয়ে শুরু করো।
-
ছোট প্রজেক্টও ভালো পোর্টফোলিও তৈরি করে।
-
নিজের ব্র্যান্ডকে “বিশ্বাসযোগ্য” দেখাতে হবে।
0 comments:
Post a Comment