Monday, September 1, 2025

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করার গাইডলাইন

 ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করার গাইডলাইন

১️⃣ ব্যবসার ধারণা ও নীচ (Niche) ঠিক করা

  • কোন ধরণের ক্লায়েন্টকে সার্ভিস দেবে:

    • ছোট ব্যবসা (SME)

    • ই-কমার্স শপ

    • রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ফিটনেস সেন্টার

  • পরিষ্কার নীচ থাকলে মার্কেটিং সহজ হয়।


২️⃣ সার্ভিসের ধরণ নির্ধারণ করা

ডিজিটাল মার্কেটিং-এর বিভিন্ন সার্ভিস দেওয়া যায়:

  1. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)

    • Facebook, Instagram, TikTok, LinkedIn

  2. কনটেন্ট ক্রিয়েশন

    • গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও, ব্লগ, রাইটিং

  3. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

    • ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানো

  4. পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট (PPC)

    • Facebook Ads, Google Ads

  5. ইমেইল মার্কেটিং

  6. ওয়েব ডিজাইন/ডেভেলপমেন্ট (optional)


৩️⃣ প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্ট

  • কম ইনভেস্টমেন্টে শুরু করা যায়:

    • ল্যাপটপ/কম্পিউটার: ৪০–৬০ হাজার টাকা

    • সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশন (Canva, Photoshop, ChatGPT, Meta Ads Manager): ৫–১০ হাজার টাকা

    • ওয়েবসাইট/ডোমেইন: ৫–১০ হাজার টাকা

মোট প্রাথমিক খরচ: ৫০–৮০ হাজার টাকা (প্রায়)


৪️⃣ টিম বা একাই শুরু করা

  • একা শুরু করলে ফ্রিল্যান্সারদের সাহায্য নিতে পারো।

  • পরবর্তীতে ক্লায়েন্ট বাড়লে ২–৩ জন টিম মেম্বার নিতে পারো:

    • কনটেন্ট ক্রিয়েটর

    • অ্যাড ম্যানেজার

    • গ্রাফিক ডিজাইনার


৫️⃣ ক্লায়েন্ট খোঁজা

  1. নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোর্টফোলিও শেয়ার করো।

  2. ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম: Fiverr, Upwork, PeoplePerHour

  3. লোকাল ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক/গ্রুপে প্রচারণা

  4. রেফারেল মার্কেটিং: একবার ক্লায়েন্ট পেলেই নতুন ক্লায়েন্টের সুযোগ


৬️⃣ প্রাইস স্ট্রাকচার

  • ছোট ব্যবসার জন্য মাসিক রিটেইনার: ১০–২০ হাজার টাকা

  • মিডিয়াম ক্লায়েন্ট: ২০–৫০ হাজার টাকা

  • বড় ক্লায়েন্ট: ৫০–১০০ হাজার বা বেশি

প্রথমে কম দামে শুরু করে পোর্টফোলিও বানানো ভালো।


৭️⃣ মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং

  • নিজের ওয়েবসাইট + সোশ্যাল মিডিয়া পেজ

  • কেস স্টাডি এবং ক্লায়েন্ট রিভিউ

  • টার্গেটেড ফেসবুক/লিংকডইন অ্যাডস


৮️⃣ বৃদ্ধির পরিকল্পনা

  • নতুন সার্ভিস যোগ করা (SEO, Influencer Marketing)

  • টিম বাড়ানো

  • রিটেইনার ক্লায়েন্ট বাড়ানো


💡 টিপস:

  • প্রথমে ৫–১০ ক্লায়েন্ট নিয়ে শুরু করো।

  • ছোট প্রজেক্টও ভালো পোর্টফোলিও তৈরি করে।

  • নিজের ব্র্যান্ডকে “বিশ্বাসযোগ্য” দেখাতে হবে।

Share:

0 comments:

Post a Comment