Saturday, September 13, 2025

❌ ভুল করলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, কিন্তু ট্রানজিট হবে না।

❌ ভুল করলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, কিন্তু ট্রানজিট হবে না।

সম্প্রতি ট্রানজিট নিয়ে পরিস্কার ধারণা না থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন অনেক যাত্রী।  অনেকে ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ট্রানজিট হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে টিকিট কাটছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে টিকিট কাটছেন অনলাইনে।  কিন্তু ঢাকায় বিমানবন্দর থেকেই তাদের বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।  তাদের টিকিটের টাকা লোকসান হচ্ছে ভুলের কারণে। 

✅ আসুন আগে জানি ট্রানজিট কী ❓

✔️ একটি দেশ থেকে দ্বিতীয় দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের যাওয়া। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে প্রবেশ না করলে ট্রানজিটের জন্য আলাদা করে ভিসা নিতে হয় না। তবে ট্রানজিট সুবিধার জন্য আন্তর্জাতিক কিছু বিধিবিধান মেনে চলতে হয়। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের বিমিানবন্দরের নিয়ম হচ্ছে, আপনি সেদেশে প্রবেশ না করে ট্রানজিট সুবিধা নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি  ইমিগ্রেশন পার হতে হলে অবশ্যই ভিসা লাগবে। যারা ট্রানজিট হবেন, তারা ইমিগ্রেশন পার হবেন না।




🔎 কি ভুল করছেন যাত্রীরা ❓ 

1️⃣উদাহরণ দিয়ে যদি বলি,  মফিজ সাহেব ওমান যাবেন। তিনি ইউএস বাংলার ঢাকা কলকাতার টিকিট কেটেছেন,  আর ওমান  এয়ারের কলকাতা –ওমান টিকিটি কেটেছেন। ঢাকায়  বিমানবন্দর থেকে মফিজ সাহেবকে বোর্ডিং করেনি ইউএস বাংলা, কারণ তার ভারতের ভিসা নাই। মফিজ সাহেব, আকাশ থেকে পড়লেন, সব টাকা জলে গেলো। কিন্তু তিনি তো জানতেন ট্রানজিটে ভিসা লাগে না।

2️⃣এখানে সমস্যা হচ্ছে, ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়ার পর মফিজ সাহেবের লাগেজ বেল্টে যাবে সেগুলো সংগ্রহ করতে হলে তাকে ইমিগ্রেশন পার হয়ে লাাগেজ  বেল্টে  যেতে হবে। অন্য দিকে যদি লাগেজও না থাকে,- তাকে বোর্ডিং করতে বোডিং কাউন্টারে যেতে হবে। সেখানে যেতে হলেও তাকে ইমিগ্রেশন পার হতে হবে।  আর  ইমিগ্রেশন পার হতে হলে অবশ্যই ভিসা লাগবে। আর কোন দেশে  ভিসা ছাড়া যাত্রী নিলে  এয়ারলাইনকে বড় অংকের জরিমানা দিতে হয়।

ট্রানজিট সুবিধা পেতে হলে এয়ারলাইনের মাধ্যমে নিতে হবে। অর্থাৎ  ইমিগ্রেশন পার না হয়ে  আপনি যাতে  পরবর্তী ফ্লাইটে উঠতে পারেন, সে ব্যবস্থা করবে এয়ারলাইন।  তখন  আপনি  দ্বিতীয় দেশের ইমিগ্রেশন পার না হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে যেতে পারবেন। 

❤️ দুটি আলাদা টিকিট কাটবেন না, তাতে আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না।


Share:

0 comments:

Post a Comment

banner